Ticker

6/recent/ticker-posts

মানুষকে গ্রন্থাগারমুখী করার মহান উদ্যোগ বেহালায়, বই পড়ে হল বর্ষবরণ

Uk নিউজ বাংলা, কলকাতা: 
ভিক্টর হুগো বলেছিলেন, বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানব সমাজকে টিকাইয়া রাখিবার জন্য জ্ঞান দান করে। অতএব, বই হইতেছে সভ্যতার রক্ষাকবচ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো।
ফ্রান্‌ৎস কাফকা বলেছিলেন, আমাদের আত্মার মাঝে যে জমাট বাধা সমুদ্র সেই সমুদ্রের বরফ ভাঙার কুঠার হলো বই।
সারা পৃথিবীর মানুষও স্বীকার করেন, মনুষ্যত্বের বিকাশে বইয়ের বিকল্প কিছু নেই।
তারপরও  দিন দিন কমছে বই-পড়া মানুষের সংখ্যা, পাঠকের অভাব টের পাচ্ছে অসংখ্য প্রকাশনী সংস্থা থেকে শুরু করে গ্রন্থাগারগুলো। আমরা ভুলে যাচ্ছি
বই আমাদের সংস্কৃতিরও একটি অঙ্গ।

"আমাদের সকালগুলো শুরু হোক খবরের কাগজের ছাপা অক্ষরে চোখ রেখে আর রাত আসুক বইয়ের পাতার ছাপা অক্ষরের মায়ায়।" এই স্লোগান নিয়ে বেহালা চৌরাস্তার মদনমোহনতলায়
আরও বহু মানুষকে বই ও গ্রন্থাগারমুখী করতে কয়েকশো মানুষ নতুন বছর ২০২৪কে স্বাগত জানালেন বই পড়তে পড়তে। 
৩১শে ডিসেম্বরের রাতে তাঁরা করলেন "বইবরণ"। 
৩১ডিসেম্বর২০২৩-এর সন্ধ্যা থেকেই অসংখ্য বই ও পত্রপত্রিকার ছাপা অক্ষরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা বেহালার মদনমোহনতলায়। 
স্থানীয় মানুষরা বিভিন্ন সময়ে এসে তাঁদেরকে উৎসাহ দিতে বই পড়ায় অংশ নিচ্ছিলেন।
ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছুঁতেই  নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তাঁরা উঠে দাঁড়ালেন। তারপর বই পড়তে পড়তে ২০২৪ কে স্বাগত জানালেন, 
"আমাদের নতুন বছরের সকালগুলো শুরু হবে খবরের কাগজের ছাপা অক্ষরে চোখ রেখে আর রাত আসবে বইয়ের পাতার ছাপা অক্ষরের মায়ায়"―এই স্বপ্ন নিয়ে। 

একটি সাক্ষাৎকারে "আমরা বইপ্রেমী"র পক্ষ থেকে এই "বইবরণ" আয়োজনের আহ্বায়ক লেখক পিন্টু পোহান জানিয়েছেন, ৩১ শে ডিসেম্বর ২০২৩, ছিল অন‍্যান‍্য দিনের থেকেও ব‍্যস্ততম একটি দিন। অথচ সকাল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন আমাদের শুভেচ্ছা জানাতে। এসেছিলেন
কলকাতা পুলিশে কর্মরত লেখক ও সম্পাদক অভিজিৎ বেরা, কবি ও চিত্রপরিচালক রাজকুমার দাস, ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গাঙ্গুলী, সমাজ সেবক অনন্ত আচার্য, বিজন বিশ্বাস, মধুসূদন পাল, মুরাদপুর কে. এম. সি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও শিক্ষকরা, ডাক্তার বরুণ রায়, মদনমোহন কৃষ্টি পরিষদের সম্পাদক, সভাপতি, সদস্য সহ অসংখ্য মানুষ। তারপর বিকেলবেলা যখন বই পড়া শুরু হল, অঞ্চলের কয়েকশো মানুষ তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকেও বহু মানুষ এসে যোগ দিয়েছিলেন বই পড়তে।
মানুষের এত এত ভালোবাসা পেলাম, এত এত সুন্দর সুন্দর ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলাম যে তা বলে শেষ করা যাবে না।

Post a Comment

0 Comments