১১ জুলাই, ২০২৩; বাংলাদেশ: "পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই" স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সবার জন্য পড়া উন্মক্ত পাঠাগার পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের ধুলাউড়ি গ্রামে ২০২১ সালে ০১ পহেলা জানোয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় । এই পাঠাগার বর্তমানে পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুল ও হাইস্কুল ও কলেজ পড়ুয়া এক ঝাক তরুন-তরুনী শিক্ষার্থীর তত্বাবধানে । তাদের সহযোগীতায় সদস্য হওয়া, বই নেওয়া, বই ফেরত দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম তারা পাঠাগারের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধি করে রাখেন । পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের, ধুলাউড়ি গ্রামেল সুবাহান খানের ছেলে মহঃ শাহাদত হোসেন এই পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ধুলাউড়ি আলিয়া মাদ্রসায় থেকে আষ্টম শ্রেণীর পাশ করার পড় ঢাকা সাভার জিরানী বাজার বাংলাদেশ ক্রিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে জব শুরু করেন ও নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের বই কিনে পড়তে শুরু করেন । এবং দেশে করোনা মহামারী শুরুর দিকে বাড়িতে চলে আসেন ও তখন দেখলেন বেশির ভাগ মানুষ ফেসবুক, ইমু, টিকটক, লাইকি, ভিডিও গেইম সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকছে প্রযুক্তিকে যেমন বাদ দেওয়া যাবে না । তেমনি বই পড়াকে ত্যাগ করা যাবে না । কারণ বই আপনার অজ্ঞাতার প্রাচীর ডিঙিয়ে জ্ঞানের আলোয় আপনাকে করবে আলোকিত মানুষ । ২০২১ সালে নিজ বাড়িতে নিজ টিনের চার চালা ঘরের একটি রুমে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন । শুরুর দিকে নিজের কাছে থাকা সাত-আট শত বইয়ের মধ্যে পাঁচ শত বই নিয়ে পাঠাগারটি চালু করেন ও ধীরে ধীরে সকল বই একত্রিত করে ও কিছু বই উপহার পেয়ে বতমানে পাঠাগারের সংগ্রহে রয়েছে এগারো শত বইয়ের উপরে। পাঠাগারটিতে যে কোন বয়সের নারী-পুরুষ বই পড়ার জন্য উন্মক্ত রয়েছে । তারা পাঠাগারের সদস্য হতে পারেন অথবা কোন পাঠক ইচ্ছা করলে পাঠাগারে এসে বসে বই পড়তে পারেন, আবার চাইলে বই রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পড়তে পারেন । পাঠাগারের সদস্য তেজগাঁও কলেজের ছাত্র সুমন বলেনঃ- আমাদের গ্রামের মানুষের জন্য ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসে-পাশে কোন পাঠাগার না থাকায় বই পড়তে হলে আমাদের ৩৫-৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা সরকারি গ্রন্থগারে যেতে হতো। যা আমাদের জন্য অনেক কষ্ঠসাধ্য ছিল। কিন্ত এই বই সবার জন্য পড়া উন্মক্ত। পাঠাগার থাকায় আমরা যখন খুঁশি তখন যে কোন ধরণের বই পড়ে আনন্দিত হয় ও জ্ঞান আরোহণ করতে পারি । পাঠাগারটির সহযোগীতায় থাকা Alif Boiler Company -র এমডি জি এম ইলিয়াস হাসান বলেনঃ- পাঠাগারটি ধুলাউড়ি ইউনিয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে পাঠ্য অভ্যাস তৈরীতে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়েন শিক্ষার্থীরা । পাঠাগারটিতে জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করছে, যা তাদের ভবিষ্যতে আলোকিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি । তাই পাঠাগারটির উন্নয়নে সমাজের শিক্ষানুরাগী ও শিল্পপতিদের সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
01748563342 বিকাশ ও নগদ
0 Comments